Skip to main content

Posts

অ-রির কান্ডকারখানা

  সুমিত গাঙ্গুলী [এই  ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে যে পাঠকগণ ভাবছেন কেমন ছিল সেই সব '৯০-এর দিনগুলো, কিংবা নব্বইজাতকরা যখন ফিরতে চায় তাদের ছেলেবেলায়, তখন তারই পটভূমিকায় এই সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্পটি লেখা হচ্ছে, স্থান-কাল-পাত্র সবই কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে কোনো মিলই নেই। থাকলে তা নিতান্ত আকস্মিক।] "অসীম, ব্যায়াম নিয়মিত না করলে কিন্তু শরীর ভেঙে যাবে। ভালো কথা বলছি রোজ সকালে উঠে ব্যায়াম করতে হবে, না হলে কিন্তু..." কথা শেষ হলো না সুনীলদার। অসীম বলে উঠলো: "আর হবে না সুনীলদা। এবার থেকে রোজ আসবো।" "ঠিক আছে। এই সপ্তাহে আমি সময় পাবো না। নিজে বাড়িতে প্র্যাকটিস করবি। আর ব্যায়াম করলেই তো শরীর থাকবে। নাহলে ডোনাল্ডের মতো বল করতে পারবি?" "ডোনাল্ড রোজ ব্যায়াম করে?" "নাহলে অত ফিট থাকে? দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং দেখিস নি? জন্টি রোডস?" সুনীলরা পাড়ায় নতুন এসেছে। কিছু ছেলেমেয়েদের ব্যায়াম শেখায়। বলে এটা সাধনা। শরীরই মন্দির। অসীম ওর কাছে ব্যায়াম শেখে। শুকতারার তুষার শীল-এর শরীর গড়তে যোগ ও ব্যায়াম পড়ে। ওর ইচ্ছা বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে। তবে ডোনাল্ড হবে না। ও হবে কপ...
Recent posts

ডুয়ার্সের_ডায়েরী_থেকে

শেষ সকালে বনের গন্ধে যেন হঠাৎ চারদিক ভরে গেল, কটেজের পেছন দিকে একটা পরিখা মতো কাটা, আর সামনের দিকে যতদূর চোখ যায় চা-বাগানের সারি সারি গুল্ম গাছ। এই কটেজের কথা এক পরিচিতের মুখে খবর পাই আমরা। পরিখার পেছনে একটা ঝোরা ছিল। ঝর ঝর শব্দ রাতে ঘর থেকে শোনা যেত, কি স্বচ্ছ জল, আমি কি জানি ওকে দেখেই নাম দিয়েছিলাম অলকানন্দা-- ওর ঘর খুঁজে না পেয়ে মনে হয়েছিল ও স্বর্গ থেকে নেমেছে।  একদম স্লিম, ব্রাউন শিফন পরে, যার পাড় অদ্ভুত সবুজ রঙের-- ঝোরার ধারে মস্ত এক চ্যাটালো কালো পাথর, ওই পাথরে বসেই নিজেকে রাজাসনে বসে আছি মনে হচ্ছিল! শুতেও ইচ্ছা করেছে কিন্তু শুতে ভরসা পাইনি, সাপ ছিল - নেহাত শীত বলে তারা আমায় মায়া করেছে আর কি!! ঝোরার পাশেই ছিল শুখখা আর ছররা ঘাসের বন, তাদের ফেলেই এক সাইজের বড় বড় শাল সেগুনদের ভিড় আর ছিল অনেক রাবার গাছ, আর ছিল অনেক নাম না জানা সাদা লম্বা লম্বা গাছ তাদের গায়ে রোদ পড়ে মনে হচ্ছে যেন ফেসপ্যাক মাখা। কাঁচপোকাদের ভারি ভিড়, শীতে তাদের পাখা তিরতির করে কাঁপছে যেন! ভোরে, বেলায় অপরাহ্নে জঙ্গলের সৌন্দর্য এক এক রকমের। এক টুরিস্ট ভদ্রলোক গলায় বিশাল নলওয়ালা ক্যামেরা নিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন, আ...

লেটুশদার হাতেখড়ি (শেষ পর্ব)

লেটুশদার হাতেখড়ি   তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য   (শেষ পর্ব) 'বাধ সাধল পুলিশের দেওয়া পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আর নিমাইয়ের শোনা পূবালী সোমের চিৎকারের সময়ের ডিফারেন্স। এ ব্যাপারে আমার চোখ খুলে দেন আমার বন্ধু কদমকৃষ্ণ হালদার।' একটু দম নেওয়ার জন্য বোধহয় লেটুশদা থামল। একটা গোল্ড ফ্লেক ধরাল। ওর কথা ছাড়া ঘরে আর কোনও শব্দ নেই। যেটা আছে, সেটা বাইরে ঢেউ ভাঙার শব্দ। লেটুশদা আবার শুরু করল – 'এবারে আসি নিমাই যা শুনতে পেয়েছিল সেই কথায়। প্রথমে পূবালিদেবীর গুনগুন গান। তারপরেই আর্তনাদ। অর্থাৎ, কাউকে দেখে চমকে যাওয়ার কোনও শব্দ নেই। অপরিচিত কোনও লোককে ওই সময় তাঁর ঘরে দেখতে পেলে উনি চমকে উঠতেন নিশ্চয়ই। তাহলে সেই পরিচিত লোকটা কে মেঘরাজবাবু ?' 'নিমাই যে সত্যি কথা বলছে তার প্রমান কী ?' মেঘরাজ সোম কিছুতেই দমবার পাত্র নন। 'প্রমাণ তো আপনি নিজের হাতে সেভ করেছেন মেঘরাজবাবু।' উত্তরটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দিল লেটুশদা। 'যে মোবাইল এখন পুলিশের কাছে সিজ করা আছে। আপনি আগের রাতেই নিমাইকে বলে রেখেছিলেন সকাল ছ'টার সময় আপনাদের চা দিয়ে ডাকতে। কিন্তু অনুমান করা খুব ভুল হ...

লেটুশদার হাতেখড়ি (পর্ব - ছয়)

          লেটুশদার হাতেখড়ি তৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য ( পর্ব - ছয় ) অস্বাভাবিক ঘটনা আমার জীবনে খুব বেশি ঘটেনি বলে কিনা জানিনা, পূবালিদেবীর পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা শুনে আমার চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হল। কদমকৃষ্ণবাবু তো মুখটাকে হা করে রইলেন। আমাদের অবস্থা যে খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, সেটা বুঝতে পারলাম যখন দেখলাম, লেটুশদাও ভীষণভাবে চমকে গিয়ে 'বলেন কী' বলে উঠেছে। এতক্ষণ অবধি আমরা জানতাম পূবালী সোম মারা গেছেন ছ'টার আশেপাশে। যখন নিমাই চা নিয়ে তাদের ডাকতে যায়। কারণ, সে সেইসময় চিৎকার শুনেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, খুনটা হয়েছে আরও দুঘন্টা আগে। তা কী করে হয় ?  তখনও তো মেঘরাজবাবু আর মিস্টার এবং মিসেস বসু হোটেলেই ছিলেন। তাছাড়া, নিমাই নায়েকই বা দুঘন্টা বাদে চিৎকার শুনবে কেমন করে ? তার মানে কেউ কি মিথ্যে বলছে ?  'নিমাই ব্যাটা মিথ্যে বলছে না তো ?' অটোতে ফিরতে ফিরতে প্রশ্ন করলেন কদমকৃষ্ণবাবু। 'মনে তো হয়না।' বলল লেটুশদা। যদিও আমি দেখতে পাচ্ছি ও একদম চুপ করে গেছে। আজ ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা খাওয়ার কথা। আমরা হোটেলে ঢোকার দশ মিনিট...

লেটুশদার হাতেখড়ি (পর্ব পাঁচ)

                              লেটুশদার হাতেখড়ি                                                            তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য                                                            ( পর্ব – পাঁচ ) আমি জানি লেটুশদা এই মুহূর্তে মেঘরাজ বাবু, উদ্দালক ও মাধুরী বসু কাউকেই বিরক্ত করতে চায় না। এমনও তো হতে পারে পুলিশ যেটা বলছে সেইটাই ঠিক। এটা একটা সাধারণ চোরেরই কাজ। শুধু শুধু ব্যাপারটাকে জটিল বানানোর তো কোনও দরকার নেই। কিন্তু লেটুশদার ভ্রু তাহলে এখনও কেন কুঁচকে রয়েছে? আর তাছাড়া, লেটুশদা সবসময়ই বলে ওর গুরু প্রদোষ মিত্রের মতে, খুন জিনিসটা এতো সহজ নয়। সবার পক্ষে সেটা সম্ভবও নয়।  ...

HAPPY BIRTHDAY "GREAT RAFI SAHAB"..(24 December 1924 – 31 July 1980)

कमो बैस एक सदी पहले ... कोटला सुल्तान सिंह तालुका मजिथा  " 24 दिसंबर 1924 दिन बुधवार " की सर्द रात... सुबह सादिक से कुछ पहले सफेद बालो वाली दाई "कम्मो" की आवाज़  आती है " अल्लाह के करम से इस बार भी लड़का ही हुआ है अल्लाह रक्खी " बच्चे को माँ की गोद मैं देती है कुछ देर बाद  दाई हाजी अली मुहम्मद साहब  को बच्चे का चेहरा दिखाती है जो बहार खड़े इस खबर का इंतज़ार कर रहे थे हाजी अली मुहम्मद साहब  दाई कम्मो को दो सैर गेहूं,.... गुड़, नये कपड़े और कुछ सिक्के देते हैं बच्चे का नाम मुहम्मद रफ़ी ( The Exalted one) रखा जाता है दोस्तों यही मासूम बच्चे आगे चल कर "दी ग्रेट मुहम्मद रफ़ी साहब" बने  जो की आज लाखों नहीं करोड़ों लोगो के दिलों पर राज़ करते हैं  दोस्तों वैसे ये बात ज्यादा मायने नहीं रखती के कौन कब पैदा हुआ और कब दुनिया से रुखसत हो गया बल्कि ये बात मायने रखती हैं की जिंदगी किन उसूलो पर गुजारी -और रुखसत होने के बाद भी लोग उन की ज़िन्दगी से किस कदर फ़ैज़याब हो रहे हैं रफ़ी साहब समाजी हम अहंगी (सामाजिक एकता ) की सब से बड़ी अलामत हैं रफ़ी साहब की अहमियत ये ही नहीं ...

লেটুশদার হাতেখড়ি ( পর্ব - চার )

লেটুশদার হাতেখড়ি তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য ( পর্ব - চার ) লেটুশদার ষষ্ঠেন্দ্রিয় যাই বলুক না কেন, পূবালিদেবী যে কোনোভাবে খুন হতে পারেন এটা আমি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। পুরী মোটেই কোনও ছোটোখাটো গঞ্জগ্রাম নয়| বিশেষত সিবিচের থেকে শুরু করে পুরী মন্দির এবং তাকে কেন্দ্র করে আরও বেশ কয়েকটা জায়গা এই মুহূর্তে প্রায় বিশ্ববিখ্যাতI তারওপরে একেবারে মেরিনড্রাইভ রোডের ওপরে পুলীন পুরী যথেষ্ট অভিজাত একটি হোটেল। সেখানে এরকম একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা| পুরী শহরের নাকের ডগায়| বোঝাই যায় আততায়ী প্রচন্ড ডেসপারেট কেউ। এই ঘটনায় হোটেলের প্রত্যেকটা লোক থেকে শুরু করে আশেপাশের দোকানদাররাও যে প্রায় হকচকিয়ে গেছেন, সেটা বেশ বোঝা যায়। ইতিমধ্যেই হোটেলের লবির পর থেকে দোতলার সিঁড়িটা সিল করে দেওয়া হয়েছে। একজন ফর্মাল প্যান্ট শার্ট পড়া ভদ্রলোক একটা জার্মান শেপার্ড কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে এইমাত্র দোতলা থেকে রিসেপশনের সামনে এলেন| কুকুরটা প্রায় আট ইঞ্চি জিভ বার করে প্রচন্ড কৌতূহল নিয়ে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। লেটুশদা বলল, 'বোধহয় সরকারী গোয়েন্দা বিভাগ কাজ শুরু করে করে দিয়েছে I' পুলীন পুরী হোটেলের রিসেপশনের সামনেই আলা...