Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2018

আমরা তো হেমন্তই হতে চাইতাম

আজও বিকেলে মাঝে মাঝে খুব হেমন্ত শুনতে ইচ্ছে হয়..... "কোনোদিন বলাকারা এতো দূরে যেত কি "...... কিংবা "ওলির কথা শুনে বকুল হাসে ".......আজও মনে পরে "বিষ্ণুপ্রিয়া গো আমি চলে যাই ".......বা "সারাটি দিন ধরে / চেয়ে আছিস ওরে /তোর মনে কথা তবুও কেউ জানলো  না"......আকাশে মেঘ করলেই মনে পরে "মেঘের স্বপন দেখি "......শুধু একজনের জন্য।...... হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । কখনো আবার বেশি রাতে আজও  শুনি বিবিধ ভারতীতে.... "তেরি দুনিয়া মে জিনিসে /তো বেহতর হ্যায় / কে মর যায়ে ".....আর সাথে যদি হয় 'ছুঁপালো যুঁ দিল মে প্যার মেরা " ...তাহলে তো কথাই নেই।   বাবাদের ছেলেবেলায় খুব প্রিয় ছিল " শূর্পনখার নাক কাটা যায় / উই কাটে বই চমত্কার / খদ্দের কে জ্যান্ত ধরে / গলা কাটে দোকানদার "........ মা এখনও  শুনতে চায় "ঘুম যায় ওই চাঁদ মেঘ পরীদের সাথে "......জ্যাঠার ঘরে বসে কত দুপুর কেটেছে শুধু "বসে আছি পথ চেয়ে"........ সেই কোন ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি "যদি জানতে চাও তুমি / এব্যাথা আমার কত টুকু / তবে বন্দি করা কোনো পাখির কাছে জেনে ...

আধুনিক ক্রিকেট

একবিংশ শতাব্দী ক্রিকেট খেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সাক্ষী, বিষেশ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটের কথা এক্ষেত্রে বলতেই হয়।  ইংল্যান্ড-এ ২০০৩ সালে প্রথম খেলা এই  সংক্ষিপ্ততম  ক্রিকেট সংস্করণ টি , এই খেলার ক্ষেত্রে এক মহান আবিষ্কার।   ভয়দর হয়নি ভাবে দ্রুত গতিতে রান তোলা বড় স্ট্রোক খেলা ব্যাটসম্যান কে সামলাতে বোলার দের  নিত্য নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হয়েছে এঅবগ ফিল্ডিং কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হয়েছে।   ২০০৪ সালে প্রথম মহিলাদের আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলা হয় এবং কিছু দিন পরে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের প্রথম ম্যাচ ও খেলা  হয় যা ক্রিকেট খেলার তৃতীয় সরকারি আন্তর্জাতিক সংক্ষরণ বলে গৃহীত হয়।  ।  প্রথম ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলা হয় ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা সারা প্রতিবীতে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ দেখে বলে মনে করা হয়।  যা পৃথিবীর ক্রিকেট খেলার আন্তির্জাতিক দৃশ্যপটই বদলে দেয় । মূলত এই কারণেই ভারতে আই  পি এল শুরু হয়। ২০০৮ সালে প্রথম আই পি এল খেলা হয় যার পরিকল্পনা বি সি সি আই প্রথম করেছিল ২০০৭ সালে। ১...

কালো ? তা সে যতই কালো হোক------

                        বহু প্রচেষ্টার পরে লাহিড়ী বাড়িতে জন্ম হলো দুই মেয়ের।  একজনের নাম পারমিতা ,আর একজনের নাম মধুমিতা। সবাই  বেজায় খুশি। বাড়িতে মা লক্ষ্মী এসেছে ,সবাই আনন্দে ভরপুর। ঠাকুমা নাতনিদের মুখ দেখে বলে উঠলো " আরে, একজন লক্ষ্মী আর এক জন কালী হলো কি করে? " আসলে পারমিতার গায়ের রং খুব চাপা ছিল।  আর মধুমিতা ছিল পরীর মতো ফুটফুটে। কালক্রমে কারোর বুঝতে অসুবিধা হলো না যে  ঠাকুমা  কোন নাতনি কে বেশি ভালোবাসতেন।                       বাবা-মায়ের আদর ও ভালোবাসা পেয়ে দুই মেয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করলো।  ভালো স্কুলে ভর্তিও হলো, কিন্তু  স্কুলেও  শিক্ষিকারা  যেন পারমিতাকে খুব একটা পছন্দ করতো না , লেখাপড়ার জন্যও  না , তার রূপের জন্যও না।  এই দিকে মধুমিতা  পড়াশুনা ভালো না করলেও শিক্ষিকারা তাকে কিছু বলতো না।                       এই ভাবে দুই জন ভালোই বেড়ে উঠছিলো। দ...

চলমান অশরীরী

“ফ্যান্টম”  বা “ চলমান অশরীরী” নামক কমিক্স এর সুত্রপাত ঘটে ১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লিওন লি ফকের মাধ্যমে।দৈনিক সংবাদপত্রে সুত্রপাত ঘটেছিল এই ১৭ই ফেব্রুয়ারী ১৯৩৬।গল্পের নাম ছিল “ Sing Brotherhood” । গল্পটি শেষ হয়েছিল ১৯৩৬ সালের ৭ই নভেম্বর। “ফ্যান্টম” নামক চরিত্রটির ভবিতব্য সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক হয়ে গিয়েছিল এই কমিক্স থেকেই এই নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ নেই।১৯৩৯ সালের মে মাস থেকে রঙ্গিন রবিবারের আলাদা গল্পের সিরিজও শুরু হয়ে যায়।দুই প্রকারের স্ট্রিপ আজও প্রকাশিত হয়ে চলেছে যা প্রমান করে চলেছে এই কমিক্স এর জনপ্রিয়তা। এই জনপ্রিয়তার কারনেই ১৯৪৩ সালে কলোম্বিয়া পিকচার সাদা-কালো সুপারহিরো সিরিয়াল হিসাবে ফ্যান্টমের সুত্রপাত করেন।মোট ২৮টি পর্বে ভাগ করে ১৫ মিনিটের এই সিরিয়াল তৈরি। “জোলোজ” নামক কাল্পনিক শহরের খোঁজ করতে আসা  অধ্যাপক ডেভিডসন ও তার কন্যা ডায়ানা। সাথে নাজি এজেন্ট ডঃ ম্যাক্স ব্রেমার। ডেভিডসনের লক্ষ্য জোলোজ শহর খুজে বার করা ও ওই অঞ্চলে একটি প্রত্নতাত্বিক কেন্দ্র তৈরি করা আর ব্রেমারের লক্ষ্য সম্পদ আহরন করে নাজি বিমান ঘাটি তৈরি করা। নাজি দের মদতে স্থানিয় কিছু ব্যক্তি তৎকালিন ফ্যান...

Unanswered Questions

Since the dawn of life , mankind has been progressing in every known field.  be it technology or culture or building total civilization. Every civilizations were divided by restriction from either side. We call them borders . which are manned by soldiers, my question is why?                                      where was this borders when man lived in paleolithic age ? very few people realize the uselessness of borders. when god made land for man, did he devise  borders? every man  is a son of adam and every women is a daughter of eve that makes us family. but do we realize it? that the whole planet is a total family . the question remains officially  unanswered.        Author: Anirban Dutta 

যন্ত্রের জীবন

এখনও    মনে  পরে  সেই  ছোটবেলায়  বাড়িতে  টেলিফোনের  রিং  এর  আওয়াজ   সেই  মায়ের  কণ্ঠ  " ফোনটা  ধর  কেউ "। সঙ্গে  সঙ্গে  দৌড়ে  গিয়ে  ফোনটা  ধরা,   যেন  যে  ফোন  করছে  সে  আবার  ফোনটা  করতে  পারবে   না। সেই  বারে  বারে   ফোনটা  কেটে  যায় । বারে  বারে  রং নাম্বার ।ব্যাপারগুলো  আজ  ভাবলে  মনে  হয়  কত  যুগ   আগেকার  কথা। শুধু  তাই  নয়, মাসের   শেষে  বাবার  ফোনের  বিল  বেশি  আসছে  বলে  চিন্তা  করা  আর   মাঝে মাঝে ভাবা  ফোনটা কেটে  দিলেই  হয়।       কিন্তু  হটাৎ  করে  জীবনটা  চেঞ্জ  হয়ে  যায় । হটাৎ  যেন  জীবন  খুব  তাড়াতাড়ি  চলতে  লাগলো।  হাতে  আসলো ...

আমাদের যাত্রা হলো শুরু

সে সব এক দিন ছিল।  যখন কলকাতায় পরিযায়ী পাখির দল ভিড় করতো।  শীতের সকালে হাঁক  পেরে যেত  জয় নগরের মোয়া।  বড়দিনের ছুটি আর কেক কমলালেবুর গন্ধে আমোদ করিয়ে দিয়ে ইডেনে বসতো  টেস্ট ম্যাচের আসর।  চিড়িয়াখানার ভিড় আর বইমেলা টানতো  আমাদের।  সাথে ছিল পিকনিক।    সন্ধ্যের কলকাতার পাড়া।  এ বাড়ি ওবাড়ি থেকে ভেসে আসতো হারমোনিয়ামের  আওয়াজ "আকাশের অস্ত রাগে"....  আর মাঠের ধুলো মেখে ফিরত ছেলেবেলা। টিভিতে চিত্রহার,দর্শকের দরবারে, সাতটার "বিশেষ বিশেষ খবর", চিচিং ফাঁক, হরেকরকম্বা।  ট্রামের আওয়াজ, জ্যাম মিলে  ভালোই ছিল সেই দিন গুলো।  দেখা যাক সেসবের  স্বাদ এখন কেমন লাগে।সাথে থাকবে আরো অনেক কিছু।  তিন সাধারণের যাত্রা শুরু হলো।  অনেক দিন চলতে হবে।