Skip to main content

চলমান অশরীরী



“ফ্যান্টম”  বা “চলমান অশরীরী” নামক কমিক্স এর সুত্রপাত ঘটে ১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লিওন লি ফকের মাধ্যমে।দৈনিক সংবাদপত্রে সুত্রপাত ঘটেছিল এই ১৭ই ফেব্রুয়ারী ১৯৩৬।গল্পের নাম ছিল “Sing Brotherhood” । গল্পটি শেষ হয়েছিল ১৯৩৬ সালের ৭ই নভেম্বর। “ফ্যান্টম” নামক চরিত্রটির ভবিতব্য সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক হয়ে গিয়েছিল এই কমিক্স থেকেই এই নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ নেই।১৯৩৯ সালের মে মাস থেকে রঙ্গিন রবিবারের আলাদা গল্পের সিরিজও শুরু হয়ে যায়।দুই প্রকারের স্ট্রিপ আজও প্রকাশিত হয়ে চলেছে যা প্রমান করে চলেছে এই কমিক্স এর জনপ্রিয়তা।
এই জনপ্রিয়তার কারনেই ১৯৪৩ সালে কলোম্বিয়া পিকচার সাদা-কালো সুপারহিরো সিরিয়াল হিসাবে ফ্যান্টমের সুত্রপাত করেন।মোট ২৮টি পর্বে ভাগ করে ১৫ মিনিটের এই সিরিয়াল তৈরি। “জোলোজ” নামক কাল্পনিক শহরের খোঁজ করতে আসা  অধ্যাপক ডেভিডসন ও তার কন্যা ডায়ানা। সাথে নাজি এজেন্ট ডঃ ম্যাক্স ব্রেমার। ডেভিডসনের লক্ষ্য জোলোজ শহর খুজে বার করা ও ওই অঞ্চলে একটি প্রত্নতাত্বিক কেন্দ্র তৈরি করা আর ব্রেমারের লক্ষ্য সম্পদ আহরন করে নাজি বিমান ঘাটি তৈরি করা। নাজি দের মদতে স্থানিয় কিছু ব্যক্তি তৎকালিন ফ্যান্টম কে মেরে ফেলে। তার যায়গা নেয় তার ছেলে। যার প্রকৃত নাম হল কিট ওয়াকার (সব ফ্যান্টমেরই তাই)। কিন্তু ডায়ানার কাছে তার একমাত্র পরিচয় গডফ্রে প্রেস্কট নামে।
সিরিয়াল বিরাট জনপ্রিয়তা লাভ করে কিন্তু শুধু মাত্র স্থান ও পাত্র ছিল প্রকৃত অর্থাৎ মুলানুগ। তাও সব টা নয়। বিশেষত ডায়ানার বাবার চরিত্রটি মুল কাহিনির কোথাও নেই। আর গল্পর সাথে ফ্যান্টমের গল্পের কোনও মিল নেই। নাজি প্রসঙ্গ ফ্যান্টমে মাত্র দুবার এসেছে যার সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই।  অধিকাংশ শ্যুটিং হয়েছিল হলিউড হিলে। যাকে আফ্রিকার জঙ্গল বলে দেখান হয়েছিল। যাই হোক সেই যুগের অধিকাংশ সিরিয়ালের মত এই সিরিয়াল কম খরচেই তৈরি হয়েছিল। টম টাইলার প্রায় “uncanny Resembles” এর মত হয়েছিল মুল কমিক্সের চরিত্রের মত বলে অনেকে দাবি করেছেন। একথা বলা মোটেই  ভুল হবে না যে এই সিরিয়াল টি কলম্বিয়ার তৈরি সিরিয়াল গুলির মধ্যে সেরা ছিল।
মোট ১৫টি পর্ব ছিল এই সিরিয়ালের। 
   
 sumit ganguly  



Comments

Popular posts from this blog

আমার বাবা - আমার ছেলেবেলা

                                            দেখতে দেখতে তেইশটা বছর পেরিয়ে গেল – বাবাকে দেখিনি, গল্প করিনি, বাবার আদরের ছোঁয়া পাইনি…… বাবার কথা বলতে গিয়েই প্রথমে মনে পড়ে তাঁর মিষ্টি হাসিটা। আমার বাবা ছিলেন একেবারে মাটির মানুষ। আমার কখনো মনে পড়েনা যে বাবা আমাকে জোর গলায় কিছু বলেছেন বা বকেছেন। ছোটবেলায় আমি আর আমার বোন সঞ্চারী বাবার কাজ থেকে ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকতাম – কেন না বাবা ফিরে এসে একটু বিশ্রাম নিয়ে আমাদের ভূতের গল্প শোনাবেন সেই আশায়! কী যে মজার দিন ছিল সেই সব... ছোটবেলায় আমার শখ ছিল পুতুল নিয়ে খেলার, খুব ভালবাসতাম। মনে পড়ে একবার বাবা আর মা বিদেশ থেকে ফেরার  সময় একটা Walkie Talkie Doll (পুতুল) নিয়ে এসেছিলেন। আমি  সেই পুতুলটিকে নিয়ে সারাদিন খেলতাম। একদিন একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে এসেছিল আমাদের বাড়িতে তার বাবামায়ের সাথে আর ওর –ও ঐ পুতুলটিকে খুব ভালো লেগে গেল। আমার নরম মনের বাবা আমাকে বললেন ‘মানা তুমি ওই বাচ্চাটিকে তোমার এই পুতুলটি দিয়ে দাও, আমি তোমাকে আবার...

আমরা তো হেমন্তই হতে চাইতাম

আজও বিকেলে মাঝে মাঝে খুব হেমন্ত শুনতে ইচ্ছে হয়..... "কোনোদিন বলাকারা এতো দূরে যেত কি "...... কিংবা "ওলির কথা শুনে বকুল হাসে ".......আজও মনে পরে "বিষ্ণুপ্রিয়া গো আমি চলে যাই ".......বা "সারাটি দিন ধরে / চেয়ে আছিস ওরে /তোর মনে কথা তবুও কেউ জানলো  না"......আকাশে মেঘ করলেই মনে পরে "মেঘের স্বপন দেখি "......শুধু একজনের জন্য।...... হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । কখনো আবার বেশি রাতে আজও  শুনি বিবিধ ভারতীতে.... "তেরি দুনিয়া মে জিনিসে /তো বেহতর হ্যায় / কে মর যায়ে ".....আর সাথে যদি হয় 'ছুঁপালো যুঁ দিল মে প্যার মেরা " ...তাহলে তো কথাই নেই।   বাবাদের ছেলেবেলায় খুব প্রিয় ছিল " শূর্পনখার নাক কাটা যায় / উই কাটে বই চমত্কার / খদ্দের কে জ্যান্ত ধরে / গলা কাটে দোকানদার "........ মা এখনও  শুনতে চায় "ঘুম যায় ওই চাঁদ মেঘ পরীদের সাথে "......জ্যাঠার ঘরে বসে কত দুপুর কেটেছে শুধু "বসে আছি পথ চেয়ে"........ সেই কোন ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি "যদি জানতে চাও তুমি / এব্যাথা আমার কত টুকু / তবে বন্দি করা কোনো পাখির কাছে জেনে ...

একই সুরে কত গান

বিষয়টা খুব একটা নতুন নয়।  যদিও বেশ আকর্ষণীয়।  গান আমরা প্রায় সকলেই শুনি।  এবং এও জানি যে এমন গান আছে যা শুনলে হঠাৎ করে মনে হয় "আরে   এই গানটার  একটা হিন্দি আছে না?" বা " এই গানটার বাংলা টা  যেন কি?"  এবং এই গানগুলির বিষয়ে মানুষের এক-ধরণের স্বভাবজাত আকর্ষণ ও আছে।  তাই ভাবলাম দেখি কিছু লেখা যায় কিনা।  মজার ব্যাপার সব গান নিয়ে লেখা খুব একটা সহজ নয়।  তবুও চেষ্টা করে দেখতে গেলে ক্ষতি কি।     প্রথমেই আসা যাক সলিল চৌধুরীর গান -এ।  তিনিই এই কাজ প্রথম শুরু করেন বলেই মনে হয়।  না ভুল হলো তার আগে শচীন কর্তাও আছেন।  তবে আগে সলিল চৌধুরীকে  নিয়েই হোক।  লতাজিকে দিয়ে তিনি ৩৫টি বাংলা  আধুনিক  গান গাইয়ে  ছিলেন।  যার ২৯ খানারই অন্য ভার্সন আছে।  ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত "যারে যারে উড়ে যারে পাখি " গানটির  হিন্দি  ছিল ১৯৬১ সালে প্রকাশিত "মায়া" হিন্দি ছবির " যারে যারে উড় যারে পঞ্চী " . "যারে যারে উড়ে যারে পাখি " এর উল্টো দিকে ছিল " না যেও না" যার হিন্দি ছিল ১৯৬০ সালে...