Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2018

একই সুরে কত গান

বিষয়টা খুব একটা নতুন নয়।  যদিও বেশ আকর্ষণীয়।  গান আমরা প্রায় সকলেই শুনি।  এবং এও জানি যে এমন গান আছে যা শুনলে হঠাৎ করে মনে হয় "আরে   এই গানটার  একটা হিন্দি আছে না?" বা " এই গানটার বাংলা টা  যেন কি?"  এবং এই গানগুলির বিষয়ে মানুষের এক-ধরণের স্বভাবজাত আকর্ষণ ও আছে।  তাই ভাবলাম দেখি কিছু লেখা যায় কিনা।  মজার ব্যাপার সব গান নিয়ে লেখা খুব একটা সহজ নয়।  তবুও চেষ্টা করে দেখতে গেলে ক্ষতি কি।     প্রথমেই আসা যাক সলিল চৌধুরীর গান -এ।  তিনিই এই কাজ প্রথম শুরু করেন বলেই মনে হয়।  না ভুল হলো তার আগে শচীন কর্তাও আছেন।  তবে আগে সলিল চৌধুরীকে  নিয়েই হোক।  লতাজিকে দিয়ে তিনি ৩৫টি বাংলা  আধুনিক  গান গাইয়ে  ছিলেন।  যার ২৯ খানারই অন্য ভার্সন আছে।  ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত "যারে যারে উড়ে যারে পাখি " গানটির  হিন্দি  ছিল ১৯৬১ সালে প্রকাশিত "মায়া" হিন্দি ছবির " যারে যারে উড় যারে পঞ্চী " . "যারে যারে উড়ে যারে পাখি " এর উল্টো দিকে ছিল " না যেও না" যার হিন্দি ছিল ১৯৬০ সালে...

মা

 মা শব্দ টা খুব ছোট হলেও তার প্রকৃত অর্থ আজ ও বোধহয় কেউ খুঁজে পায়নি। যার হাত ধরে এই পৃথিবীতে আসা জীবনের আলো  দেখে যার মুখ সবার সামনে থাকে সে হলো মা।  জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তে থাকে মা। বেড়ে ওঠা প্রথম স্কুল যাওয়ার থেকে শুরু করে বোর্ড এক্সাম-এর চিন্তা , কি হবে, সব কিছু যে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয় সে হলো মা।    মা কে কোনো উধাহরন দিয়ে বোঝানো যায় না, হয় তো সারা পৃথিবীর মা একরখম।  পৃথিবীতে ছেলে মেয়েকে যদি সব থেকে কেউ ভালো বসে সে হলো মা।  মা কে নিয়ে কিছু লিখে, কিছুই বোঝা না। কোথা  থেকে শুরু করা যায় ভাবাই কঠিন কারণ এতো অনুভূতি , এত আবেগ যেটা লিখে হয়তো বোঝানো সম্ভব না.......  মায়ের কথা  গেলেই মনে পরে সেই ছোটবেলায় স্কুল গিয়ে টিফিন খাওয়ানো, স্কুল চলা কালীন স্কুলের বাইরে দুপুরের রোদে বসে থাকা, কি কি হোমওয়ার্ক পরের দিন করে নিয়ে যেতে হবে সব বুঝে নেওয়া, কারোর সঙ্গে মারপিট হলে নিজের ছেলেকে আগে শাসন করা, টিফিন বন্ধুরা কেউ নিলে বোঝানো সবাইকে ভাগ করে খাওয়া উচিত , আরো কত কি। সমাজের সঙ্গে এডজাস্টমেন্ট করার প্রথম পদক্ষেপ মা এর...

প্রশ্ন গুলো সহজ আর উত্তরতো ......

আমার ছোটবেলার বন্ধু ছিল বুবুন, রোজ বিকেলে  আমরা পাড়ার এক মোড় থেকে আরেক মোড়  অবধি 'রেস্' করতাম, তার পর যখন আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে যেত তখন আমরা পাড়ার সব বাড়িতে কলিং বেল বাজিয়ে পালাতাম।   পরের দিনের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞা করতাম  রেস্ করে বেল টিপে নিয়ে পুরো পাড়াকে জ্বালানো।   তখন " স্ট্যাটাস কুও " নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না , ছিল খালি পায়ে মন খুলে দৌড় দেওয়া পাড়ার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত, মা বাবার কাছে মার্  খাওয়া পড়াশোনা না করার জন্য।    কিন্তু পড়া করে নিজেকে "লিবারেট" করতে পারিনি , পেরেছি ''ফর্মাল" হতে , পেরেছি নিজেদের মধ্যে 'দূরত্ব' সৃষ্টি  করতে, বড় বড় ভাষায় কথা বলে দেখোনদারিত্ব জাহির করতে।     প্রশ্ন হলো সত্যি করে কি শিক্ষার মর্য্যাদা রাখতে পেরেছি ?     আমার ভাবি 'স্যালারি প্যাকেজ ' ঠিক করে দেবে যে শিক্ষার মর্য্যাদা রাখতে পেরেছি কি না ? ব্যাঙ্ক এর ক্রেডিট কার্ড ঠিক করে দেবে ? একটা বড় ঘরের সুন্দরী বৌ এর জন্য সারা জীবন পড়াশোনা করলাম ? নাকি উচিত ছিল বন্ধু হয়ে একে অপর কে দরকারের সময় বা সুখ দুঃখে পাশে দাঁড়ানো ...

আবার চেনা মুখ.... .... কতদিন দেখা হয় নি

বহু বছর আগের কথা।  তখন হয়তো ক্লাস সেভেন কি এইট-এ পড়ি।  হটাৎ করে একদিন দেখি মনুদের বাড়িতে এক বৃদ্ধ কাজের লোক ও তার ছেলে এসেছে।  ওহ, আগে বলে রাখা দরকার মনু হলো আমার খুব ছোটবেলার বন্ধু যার বাড়ি আমার বাড়ির ঠিক সামনে।    আমি হটাৎ করে জিজ্ঞাসা করে উঠলাম মনু কে " ওই, কে এসেছে রে তোদের বাড়ীতে ?" .... ও বলল "আজ থেকে এরা  কাজ করবে আমাদের বাড়িতে "  ।  কিছুদিন যেতে না যেতেই লক্ষ্য করলাম বাচ্চা ছেলেটা আমাদের দিকে কেমন করে তাকাচ্ছে যেন কিছু বলতে চায়।  বিশেষ করে , যখনই আমি আর মনু খেলতাম।  কিছু দিন এই ভাবে চলার পর আমি ওকে বললাম "ওই শোন , তোর নাম কি রে ? " ..... ও বলে উঠলো অনি। তখনও  ওর চোখে মুখে সেকি না বলা কথার ঝলক।  বুঝতেই পারছিলাম কিছু যেন একটা বলতে চায়। কিছুক্ষন পর খুব আমতা আমতা  করে বলে উঠলো " আমি কি খেলতে পারি তোমাদের সঙ্গে ?" ........                    ---------------------------------------------------------------------------    মনু প্রথমে খুব একটা রাজি...