Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2019

লেটুশদার হাতেখড়ি (শেষ পর্ব)

লেটুশদার হাতেখড়ি   তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য   (শেষ পর্ব) 'বাধ সাধল পুলিশের দেওয়া পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আর নিমাইয়ের শোনা পূবালী সোমের চিৎকারের সময়ের ডিফারেন্স। এ ব্যাপারে আমার চোখ খুলে দেন আমার বন্ধু কদমকৃষ্ণ হালদার।' একটু দম নেওয়ার জন্য বোধহয় লেটুশদা থামল। একটা গোল্ড ফ্লেক ধরাল। ওর কথা ছাড়া ঘরে আর কোনও শব্দ নেই। যেটা আছে, সেটা বাইরে ঢেউ ভাঙার শব্দ। লেটুশদা আবার শুরু করল – 'এবারে আসি নিমাই যা শুনতে পেয়েছিল সেই কথায়। প্রথমে পূবালিদেবীর গুনগুন গান। তারপরেই আর্তনাদ। অর্থাৎ, কাউকে দেখে চমকে যাওয়ার কোনও শব্দ নেই। অপরিচিত কোনও লোককে ওই সময় তাঁর ঘরে দেখতে পেলে উনি চমকে উঠতেন নিশ্চয়ই। তাহলে সেই পরিচিত লোকটা কে মেঘরাজবাবু ?' 'নিমাই যে সত্যি কথা বলছে তার প্রমান কী ?' মেঘরাজ সোম কিছুতেই দমবার পাত্র নন। 'প্রমাণ তো আপনি নিজের হাতে সেভ করেছেন মেঘরাজবাবু।' উত্তরটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দিল লেটুশদা। 'যে মোবাইল এখন পুলিশের কাছে সিজ করা আছে। আপনি আগের রাতেই নিমাইকে বলে রেখেছিলেন সকাল ছ'টার সময় আপনাদের চা দিয়ে ডাকতে। কিন্তু অনুমান করা খুব ভুল হ...

লেটুশদার হাতেখড়ি (পর্ব - ছয়)

          লেটুশদার হাতেখড়ি তৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য ( পর্ব - ছয় ) অস্বাভাবিক ঘটনা আমার জীবনে খুব বেশি ঘটেনি বলে কিনা জানিনা, পূবালিদেবীর পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা শুনে আমার চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হল। কদমকৃষ্ণবাবু তো মুখটাকে হা করে রইলেন। আমাদের অবস্থা যে খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, সেটা বুঝতে পারলাম যখন দেখলাম, লেটুশদাও ভীষণভাবে চমকে গিয়ে 'বলেন কী' বলে উঠেছে। এতক্ষণ অবধি আমরা জানতাম পূবালী সোম মারা গেছেন ছ'টার আশেপাশে। যখন নিমাই চা নিয়ে তাদের ডাকতে যায়। কারণ, সে সেইসময় চিৎকার শুনেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, খুনটা হয়েছে আরও দুঘন্টা আগে। তা কী করে হয় ?  তখনও তো মেঘরাজবাবু আর মিস্টার এবং মিসেস বসু হোটেলেই ছিলেন। তাছাড়া, নিমাই নায়েকই বা দুঘন্টা বাদে চিৎকার শুনবে কেমন করে ? তার মানে কেউ কি মিথ্যে বলছে ?  'নিমাই ব্যাটা মিথ্যে বলছে না তো ?' অটোতে ফিরতে ফিরতে প্রশ্ন করলেন কদমকৃষ্ণবাবু। 'মনে তো হয়না।' বলল লেটুশদা। যদিও আমি দেখতে পাচ্ছি ও একদম চুপ করে গেছে। আজ ব্রেকফাস্টে আলুর পরোটা খাওয়ার কথা। আমরা হোটেলে ঢোকার দশ মিনিট...

লেটুশদার হাতেখড়ি (পর্ব পাঁচ)

                              লেটুশদার হাতেখড়ি                                                            তৃণাঞ্জয় ভট্টাচাৰ্য                                                            ( পর্ব – পাঁচ ) আমি জানি লেটুশদা এই মুহূর্তে মেঘরাজ বাবু, উদ্দালক ও মাধুরী বসু কাউকেই বিরক্ত করতে চায় না। এমনও তো হতে পারে পুলিশ যেটা বলছে সেইটাই ঠিক। এটা একটা সাধারণ চোরেরই কাজ। শুধু শুধু ব্যাপারটাকে জটিল বানানোর তো কোনও দরকার নেই। কিন্তু লেটুশদার ভ্রু তাহলে এখনও কেন কুঁচকে রয়েছে? আর তাছাড়া, লেটুশদা সবসময়ই বলে ওর গুরু প্রদোষ মিত্রের মতে, খুন জিনিসটা এতো সহজ নয়। সবার পক্ষে সেটা সম্ভবও নয়।  ...