Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2018

সোনার কেল্লার দেশে

২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস। বড়দিনের ছুটিতে বেরিয়ে পড়লাম রাজস্থান। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এয়ারপোর্ট থেকে প্লেনে উঠে সোজা পৌঁছলাম জয়পুর। প্ল্যানটা এভাবে করা হয়েছিল যে জয়পুরে নামবো, কিন্তু জয়পুরে থাকবো না। পরেরদিনই বেরিয়ে যাবো বিকানের-এর পথে। জয়পুর হবে সেই ফেরার সময়।         অগত্যা প্ল্যানমাফিক সেই রাতটা আরটিডিসির হোটেলে কাটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পরেরদিন, বিকানের এর উদ্দেশ্যে। সেই বিকানের, যোধপুর থেকে যাতায়াতে যার দূরত্ব ৩০০ মাইল। কি করে জানলাম? ওই যে মিঃ বর্মন বললেন "সোনার কেল্লা"তে, 'এরপর তো ৩০০ মাইলের ধাক্কা !' মন্দার বোস : ' ৩০০ মাইল! বিকানের ৩০০ মাইল ? ' মি. বর্মন : ' না মানে যাতায়াত ৩০০ মাইল..।' মন্দার বোস: 'ওহ্, তাই বলুন'।           এই সেই বিকানের। তাহলে আসল কথাটা বলেই ফেলি। রাজস্থান বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্য বা বিধেয় যাই বলুন সব হল গিয়ে ওই সোনার কেল্লা। অনেক বছর ধরে প্ল্যান করে, একটু একটু করে পুঁজি জমিয়ে তবে আমাদের এই "রাজস্থানে রক্তপাত" থুড়ি রাজস্থানের রোমাঞ্চ অনুভব করতে আসা। আরে মশাই বাঙালী হয়ে সোনার কেল্লা দেখবো না...

‘যে গানের এক্সপায়ারি ডেট নেই…’

অব্যর্থ এই উক্তি সেদিন শিল্পী কল্যান সেন বরাটের মুখে শোনা গেল। উপলক্ষ্য ছিল বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সলিল চৌধুরীর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী। নন্দন দুইতে অনুষ্ঠিত হলো বিশিষ্ট শিল্পী ও অনুরাগীদের নিয়ে এক আন্তরিক স্মৃতিসন্ধ্যা। এরপরে নন্দন তিনে সলিল চৌধুরীর পরিচালিত একমাত্র ছবি “পিঞ্জরে কি পঞ্ছি” প্রদর্শিত হয়।  “রাণার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম”, “ও মোর ময়না গো”, “আহা ওই আঁকাবাঁকা যে পথ”, “ও ভাই রে ভাই”, “সুরের এই ঝর ঝর ঝর্ণা”, “হেই সামহালো”, “ওগো আর কিছু তো নাই”, “ধিতাং ধিতাং বোলে”, “যদি কিছু আমারে শুধাও”, “এই রোকো”, “পাগল হাওয়া”, আরো কত এমন সব কালজয়ী গান যার সত্যি কোন এক্সপায়ারী ডেট নেই, তার সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে এক সন্ধ্যার একটি অনুষ্ঠান কখনোই যথেষ্ট নয়। সুর সম্রাটের সুযোগ্যা কন্যা অন্তরা চৌধুরী বারবার বললেন এই কথা। তিনি উপস্থিত সকলের কাছে আবেদন রাখেন প্রতিবছর সলিল চৌধুরীর জন্মদিনে যদি তাঁকে নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা যায় তাহলে অনেকেই উপকৃত হবেন, নতুনভাবে জানা যাবে স্রষ্টার বিভিন্ন ধরণের কাজকে, উঠে আসবে অনেক অজানা কথা। স্বল্প সময়ের অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা ছবির বর্তমান উজ্জ্বল...

বাজীগর কহতে হ্যায়..'

তখন আর কতই বা বয়স আমার, ১৪-১৫ হবে। সিনেমা শব্দটা খুব একটা চেনা নয় তখন। বাড়ির কড়া শাসনের ঘেরাটোপে বন্ধুমহলে আমার তখন ভারী করুণ অবস্থা। দূরদর্শনে শনিবার বাংলা সিনেমা দেয় জানি। মা বাবা অনুমতি দিলে মাঝে মধ্যে সেটা দেখার সুযোগ জোটে। তবে হিন্দি সিনেমা তখন সম্পূর্ণ ভিনগ্রহের এক জিনিস। কোন নতুন হিন্দি সিনেমার গোটা একটা সিন দেখতে পাওয়া মানে হাতে চাঁদ পাবার সমান। সময়টা ছিল আমার ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠার। কেবল টিভি তখন ক্রমশ সিনেমার জগৎটাকে কাছে এনে দিচ্ছে। সেই সময় তাকে প্রথম দেখা। নাহ, love at first sight হয়নি। "দিওয়ানা" দেখা হয়নি। শুনেছি বেশ ভালো হয়েছে। নতুন একটা ছেলে নাকি ভাল এক্টিং করেছে। তারপর একদিন তাকে দেখলাম কেবল টিভিতে "রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান" ছবির একটা দৃশ্যে দেখে বেশ ভাল লেগে গেল। ছটফটে সহজ সরল ছেলেটা কেমন যেন চেনা চেনা। আরে একে তো আমি "সার্কাস" ধারাবাহিকে দেখেছি। কই তখন তো এত ভাল লাগেনি। এরপর একে একে এলো "বাজীগর" আর "ডর"। প্রতিশোধ এত ভয়ঙ্কর হতে পারে! ছোটবেলায় পাওয়া আঘাত মানুষকে এতদিন পর্যন্ত তাড়িয়ে বেড়ায়? আর সেই ভূমিকায় সেই ছেলেটা, যে ক...