Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2019

ডুয়ার্সের_ডায়েরী_থেকে

শেষ সকালে বনের গন্ধে যেন হঠাৎ চারদিক ভরে গেল, কটেজের পেছন দিকে একটা পরিখা মতো কাটা, আর সামনের দিকে যতদূর চোখ যায় চা-বাগানের সারি সারি গুল্ম গাছ। এই কটেজের কথা এক পরিচিতের মুখে খবর পাই আমরা। পরিখার পেছনে একটা ঝোরা ছিল। ঝর ঝর শব্দ রাতে ঘর থেকে শোনা যেত, কি স্বচ্ছ জল, আমি কি জানি ওকে দেখেই নাম দিয়েছিলাম অলকানন্দা-- ওর ঘর খুঁজে না পেয়ে মনে হয়েছিল ও স্বর্গ থেকে নেমেছে।  একদম স্লিম, ব্রাউন শিফন পরে, যার পাড় অদ্ভুত সবুজ রঙের-- ঝোরার ধারে মস্ত এক চ্যাটালো কালো পাথর, ওই পাথরে বসেই নিজেকে রাজাসনে বসে আছি মনে হচ্ছিল! শুতেও ইচ্ছা করেছে কিন্তু শুতে ভরসা পাইনি, সাপ ছিল - নেহাত শীত বলে তারা আমায় মায়া করেছে আর কি!! ঝোরার পাশেই ছিল শুখখা আর ছররা ঘাসের বন, তাদের ফেলেই এক সাইজের বড় বড় শাল সেগুনদের ভিড় আর ছিল অনেক রাবার গাছ, আর ছিল অনেক নাম না জানা সাদা লম্বা লম্বা গাছ তাদের গায়ে রোদ পড়ে মনে হচ্ছে যেন ফেসপ্যাক মাখা। কাঁচপোকাদের ভারি ভিড়, শীতে তাদের পাখা তিরতির করে কাঁপছে যেন! ভোরে, বেলায় অপরাহ্নে জঙ্গলের সৌন্দর্য এক এক রকমের। এক টুরিস্ট ভদ্রলোক গলায় বিশাল নলওয়ালা ক্যামেরা নিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন, আ...